• মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বড়লেখায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ১ চা শ্রমিকের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের লড়াইয়ে আগামীকাল (বুধবার) ভোর ৬ টায় মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। জুড়ীতে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ৮৭১পিস ইয়াবা উদ্ধার, ০১টি সিএনজিসহ ০২ জন আটক মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গলায় ফাঁস লাগানো এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিলেটের পাঁচ ভাই ও পানসী রেস্টুরেন্টকে জরিমানা মামলা থেকে আ.লীগ নেত্রীর নাম কাটতে তদবির, ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। মাগুরায় আছিয়ার মরদেহ, এলাকায় শোকের মাতম মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে

শিশুর নিউমোনিয়া হওয়ার কারণ কি

Reporter Name / ২৫১ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩

মোঃ সাবিউদ্দিন: নিউমোনিয়াতে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার শিশু মারা যায়। এছাড়াও সারা বিশ্বে ৫ মাসের কম বয়সি ১৬ ভাগ শিশু মৃত্যু হয় নিউমোনিয়ার কারণে।অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রায় প্রতি ৩৫ সেকেন্ডে একটি শিশু নিউমোনিয়াতে মারা যায়। তবে, সঠিক পদক্ষেপ নিলে এই মৃত্যুগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ হল নিউমোনিয়া। কি ভাবে শরীরে এই ভাইরাস: ছড়ায়? কীভাবে রোগটি বোঝা সম্ভব? সদ্যজাতকে যথেষ্ট যত্নে রাখলেও ওর নিউমোনিয়া হতে পারে। দেশে শিশুর মৃত্যুর অন্যতম প্রধান। কারণ নিউমোনিয়া। তাই জন্মের পর ছোট্ট অতিথিকে ভীষণ যত্নে রাখা জরুরি। একইসঙ্গে এমন কোনও রোগ লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিভাবে শিশুর শরীর ছড়ায়নি উমোনিয়া?

বিশেষজ্ঞদের কথায়, মূলত, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও খুব কম ক্ষেত্রে ছত্রাক থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কাশিতে নির্গত ড্রপলেট খুদের শরীরে গেলেই জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে থাকে । জন্মের প্রথম একমাসের মধ্যে সদ্যজাতের নিউমোনিয়া হওয়ার পিছনে আরেকটি কারণ থাকে। গর্ভাবস্থায় নিউমোনিয়া হলে সেই জীবাণু গর্ভস্থ তরলকে সংক্রমিত করতে পারে।

এর ফলে প্রসবের সময়ে বা আগে শিশুও সংক্রমিত এই রোগে সংক্রমিত হয়ে পড়ে। ফলে রোগ গুরুতর হওয়ার? আশঙ্কা থাকে। কিভাবে বোঝা সম্ভবঃ সংক্রমণের পর বেশ কিছু লক্ষণ। ফুটে ওঠে একরত্তির শরীরে। সেগুলো দেখেই বোঝা সম্ভব খুদে আক্রান্ত। নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হলে শিশু ঘন ঘন শ্বাস নিতে শুরু করে। এছাড়াও কাশি ও প্রচণ্ড জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়। এই রোগের জীবাণু ফুসফুসে আক্রমণ করে। ফলে ফুসফুসের নিচের অংশে তরল জমতে শুরু করে। এর থেকেই দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। চিকিৎসকের কথায়, এই সময় খুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কম থাকে। তাই শরীর নিজে থেকে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না। ছোট অতিথির এই লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

লেখক: ডাঃ মোঃ হারুন আল মাকসুদ। রেডিওলজিস্ট এন্ড ইমেজিং বিভাগ। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।


More News Of This Category

bdit.com.bd