শিশু যৌন নিপীড়নের ঘটনা ধাপাচাপা দিতে সাংবাদিককে চাপ দিচ্ছেন আইনজীবী
মানিকগঞ্জে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে ৩ বছরের শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চান টাঙ্গাইল জজ কোর্টের আইনজীবী চিত্তরঞ্জন দাস নুপুর।
সোমবার (১০ মার্চ) রাতে যৌন নিপীড়নের বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে খোঁজ নিতে যান ডিবিসি নিউজ ও দেশ টেলিভিশনসহ কয়েকটি মিডিয়ার সাংবাদিকরা। এর সত্যতা পেয়ে সাংবাদিকরা ফেরার সময় আইনজীবী চিত্তরঞ্জন দাস নুপুর মুঠোফোনে ডিবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক সোহেল তালুকদারকে ফোন করে নিউজ না করতে চাপ প্রয়োগ করেন।
ফোনে আইনজীবী চিত্তরঞ্জন দাস নুপুর বলেন, নারী শিশু কোর্টের বিচারক অথবা টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারকে বলে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে। কোনো মামলা যাতে না হয় সেই বিষয়টিও আমি দেখছি। বিষয়টি এত সহজে মীমাংসা করা যায় কিনা উল্টো প্রশ্ন করলে বিভিন্ন আইন দেখানোর চেষ্টা করেন আইনজীবী।
এদিকে ঘটনার শাস্তি দাবি করলেও অস্বস্তি প্রকাশ করে সাংবাদিকদের সামনে আসেননি শিশুটির মা ও বাবা।
এর আগে, গত শুক্রবার মানিকগঞ্জে বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে ওই শিশু ১৪ বছরের এক স্কুল ছাত্রের মাধ্যমে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। বিষয়টি ওই শিশুর মা টের পেয়ে টাঙ্গাইল চলে আসেন। রোববার শিশুটিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে শিশুকে চিকিৎসক দেখার পর সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে শিশুটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুরটি মা ক্যামেরার সামনে কথা না বললেও তিনি জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানের রাতে শিশুটির সঙ্গে অন্যায় কাজ করা হয়। পরে মেয়ে আমাকে জানায় সে গোপণাঙ্গে ব্যাথা অনুভব করছে। পরে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারি আমার মেয়ের সঙ্গে আমাদেরই আত্মীয়ের ১৩ বছরের একটি ছেলে খারাপ কাজ করেছে। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবেও অশান্তিতে আছি।
এ বিষয়ে ডিবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক সোহেল তালুকদার বলেন, বিজ্ঞ আইনজীবী ধর্ষকের পক্ষে একজন গণমাধ্যমকর্মীকে সংবাদ না করার জন্য হুমকি দিতে পারেন এটাই বিষ্মিত করেছে। তিনি এই ঘটনা মিমাংসা করতে পারেন কিনা এমন কথায় ওই আইনজীবী বলেন, আদালতের জজ ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করবেন তিনি।